ফজলুল হক, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্বচান্দরা বোর্ডমিল এলাকায় বনের জমিতে গড়ে উঠা দোকানে ভাড়া উঠানো ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার হামলা সংঘর্ষ গুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মানিক মিয়া নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ মানিক মিয়াকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। গুলিবিদ্ধ মানিক মিয়া জামালপুর সদর উপজেলার পাকুল্লাহ গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার পুর্বচান্দরা বোর্ড মিল এলাকার বনের জমিতে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকান পাটের ভাড়া উঠানোকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে খাদেম পক্ষ এবং বাজার কমিটির পক্ষের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা চলে আসছে। এনিয়ে গত শুক্রবার দু্ই পক্ষের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বাবুসহ ৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে বাবুর অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে সফিপুর মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল শনিবার ইফতারের আগমুহুর্তে বাজার কমিটির লোকজন ওই সব দোকান থেকে ভাড়া উঠাতে যায়। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলে। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে মার্কেট গ্রুপের লোকজন ভাড়া আদায় করতে আসা মানিক মিয়া নামের একজনকে ধরে হাতুরি পেটা করে। পরে মানিকের ডান পায়ে দুই রাউন্ড গুলি করে। এসময় মানিকের ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেলে পাঠানো হয়।
পূর্ব চান্দরা বোর্ড মিল বাজারের সাধারণ সম্পাদক সুলতান উদ্দিন আহম্মদ জানান, আমরা বাজারের অস্থায়ী দোকান থেকে ভাড়া আদায় করতে গেলে প্রতিপক্ষ বাবলু নামের এক যুবক মানিককে আটক করে হাতুরি পেটা ও পায়ে গুলি করে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অজিত কুমার জানান, মানিক নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছিলেন। তার ডান পায়ের গিরুর তিন ইঞ্চি উপর দিয়ে গুলি বের হয়ে যায়। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে অন্য একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার (ওসি) মো.মনোয়ার হোসেন চৌধুরি জানান, গুলি করার বিষয়টি আমি এখনো নিশ্চিত নই। তবে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।